Wednesday, May 15, 2013

HSC admission 2013-2014

মাধ্যমিকের ফলের ভিত্তিতেই ভর্তি
একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির আবেদন ১৮ মে থেকে


 ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তির জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু হবে ১৮ মে থেকে। আবেদন গ্রহণের শেষ তারিখ আগামী ৬ জুন।
নীতিমালা অনুযায়ী, এবারও আগের মতো ভর্তির জন্য কোনো বাছাই বা ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে না। শিক্ষার্থীদের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলের (জিপিএ) ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সাংবাদিকদের কাছে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। মন্ত্রী জানান, নীতিমালাটি এখন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। সভায় শিক্ষাসচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীসহ বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ঢাকার বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষেরা উপস্থিত ছিলেন।
সভাসূত্রে জানা যায়, সভায় কলেজ অধ্যক্ষদের পক্ষ থেকে ভর্তির সময় সাকল্যে কত টাকা নেওয়া হবে, তা নির্ধারণের দাবি জানানো হলেও সেটি নির্ধারণ করে দেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এটা গতবারের মতোই থাকবে।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, ‘কলেজ পর্যায়ে আগেরবার খুব বেশি টাকা না নেওয়ায় আমরা এই টাকার হার নির্ধারণ করে দিইনি। আমরা আশা করব, কলেজগুলো দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে এবারও বেশি টাকা নেবে না।’
গতবারের মতো এবারও আবেদন ফরমের মূল্য ও ভর্তি ব্যবস্থাপনা ব্যয় নির্বাহের জন্য ১২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন ফি ১২০, ক্রীড়া ফি ৩০, রোভার বা রেঞ্জার ফি ১৫, রেড ক্রিসেন্ট ফি ২০, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফি সাত, বার্ষিক ক্রীড়া মঞ্জুরি ফি (প্রতিষ্ঠান প্রতি) ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এবার আবেদন গ্রহণের পর ভর্তির জন্য মনোনীত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী ১৬ জুন। বিলম্ব ফি ছাড়া ভর্তির শেষ তারিখ ৩০ জুন। আগামী ১ জুলাই ক্লাস শুরু হবে।
এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল (কেবল যারা আবেদন করছে) পুনর্নিরীক্ষণের ক্ষেত্রে যাদের ফল পরিবর্তন হবে, তাদের জন্য ভর্তির আবেদন গ্রহণের শেষ তারিখ ১০ জুন। আর বিলম্ব ফিসহ ভর্তি হওয়া যাবে ১১ জুলাই পর্যন্ত।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ভর্তির আবেদন মুঠোফোনে খুদে বার্তার পাশাপাশি পুরোনো পদ্ধতিতেও করার সুযোগ থাকবে।
নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তির ক্ষেত্রে যেসব প্রতিষ্ঠানে ৩০০-এর বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর অনুমতি আছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের ভর্তির কার্যক্রম বোর্ডগুলো অনলাইনে সম্পন্ন করবে। তবে ৫০০-এর বেশি হলে অবশ্যই অনলাইন ভর্তি কার্যক্রমের আওতায় আসতে হবে।
নীতিমালায় ভর্তির ক্ষেত্রে কোটাসহ অন্যান্য শর্তগুলো গতবারের মতোই রাখা হয়েছে।

2 comments:

  1. আপনাকে অসঙ্খ ধন্যবাদ ভাই অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস শেয়ার করেছেন

    ReplyDelete
  2. আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু জিনিস শেয়ার করেছেন

    ReplyDelete